০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন হেফাজতের নেতা মামুনুল হক

ছবি: সংগৃহীত

print news

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এর আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় এক হাজার টাকা বন্ডে মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তিনি আরও জানান, আমার মক্কেল মামুনুল হক সাহেব অসুস্থ থাকার কারনে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির হতে পারেনি। চিকিৎসক তাকে ৭দিনের বেড রেস্টে থাকার জন্য বলেছিলেন।

Untitled 1 copy 2406261429

আমরা চিকিৎসকের কাগজপত্রসহ আদালতকে বিষয়টি অবগত করে সময় প্রার্থনা করলেও আদালত তা আমলে না নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই মামলায় মামনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৩ মে জামিনে কারামুক্ত হন মাওলানা মামুনুল হক।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী।

যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কাজী মনিরুজ্জামান মিথ্যাবাদী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিরস্কার করেছিলেন : রুহুল আমিন

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন হেফাজতের নেতা মামুনুল হক

প্রকাশিত : ০৫:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
print news

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এর আদালত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় এক হাজার টাকা বন্ডে মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তিনি আরও জানান, আমার মক্কেল মামুনুল হক সাহেব অসুস্থ থাকার কারনে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির হতে পারেনি। চিকিৎসক তাকে ৭দিনের বেড রেস্টে থাকার জন্য বলেছিলেন।

Untitled 1 copy 2406261429

আমরা চিকিৎসকের কাগজপত্রসহ আদালতকে বিষয়টি অবগত করে সময় প্রার্থনা করলেও আদালত তা আমলে না নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই মামলায় মামনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৩ মে জামিনে কারামুক্ত হন মাওলানা মামুনুল হক।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় হেফাজতের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী।

যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।