০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হলে মালিকের লস, শ্রমিকরাও হবে বেকার: শ্রম সচিব সফিকুজ্জামান

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ৫ আগস্টের পর অনেক বড় বড় মালিক পালিয়ে গেছে, আইনের আওতায় চলে এসেছে। সেখানে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। প্রথমে বেক্সিমকো থেকে এ সমস্যা শুরু হয়।

এটা সরকার ইতোমধ্যে একটি ফান্ড তৈরি করে সমাধান করেছে। আমি মনে করি এগুলো বড় কোনো সমস্যা না। আপনাদের যত আবেদন রয়েছে আমাদের একটি কমিটি রয়েছে এখানে। ইতোমধ্যে আমার কাছে ১৩৮টি অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখবো।

যারা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন আমি শ্রমিক নেতাদের বলব, ফৌজদারি অপরাধকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। যারা আগুন দিয়েছে তাদের ধরলে আপনারা ব্যারিকেড দিয়ে বলবেন ছেড়ে দিতে, সেটা করা যাবে না।’

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে চাষাঢ়ায় অবস্থিত বিকেএমইএ’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এইসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘আমি মালিক পক্ষকে নিয়ে হতাশ। আমাদের শ্রমিক প্রতিনিধিদের কথা শোনার ধৈর্য্য না থাকলে তো এটা সমাধান হবে না। সুতরাং কথা শুনতে হবে। শ্রমিকদের সাথে ম্যানেজমেন্টের সাথে অনেক বিভেদ রয়েছে। আমাদের এসব জায়গায় ফোকাস করা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে ইন্ডাস্ট্রির চাকা চালু রাখতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে মালিকদের যেমন লস হবে তেমনি শ্রমিকরাও কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশ থেকে অনেক অর্ডার চলে গেছে, ক্রিসমাসের অর্ডার বেশির ভাগই চলে গেছে। পাশাপাশি আন্দোলনের সময় অনেক দিন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ ছিল। এছাড়াও গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এগুলো মেনে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

সভার সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে- শিল্প পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. সিবগাত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ জেলার সেনাবাহীনির কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেল কর্নেল আতিক ও বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

এসময় শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে- বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট মন্টু ঘোষ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি ও মডেল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদুজ্জামান মাসুদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও এই আলোচনায় অংশ নেয় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কারখানার মালিকবৃন্দ।

জনপ্রিয়

না.গঞ্জে মহাসপ্তমীতে মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি

ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হলে মালিকের লস, শ্রমিকরাও হবে বেকার: শ্রম সচিব সফিকুজ্জামান

প্রকাশিত : ০৩:০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ৫ আগস্টের পর অনেক বড় বড় মালিক পালিয়ে গেছে, আইনের আওতায় চলে এসেছে। সেখানে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। প্রথমে বেক্সিমকো থেকে এ সমস্যা শুরু হয়।

এটা সরকার ইতোমধ্যে একটি ফান্ড তৈরি করে সমাধান করেছে। আমি মনে করি এগুলো বড় কোনো সমস্যা না। আপনাদের যত আবেদন রয়েছে আমাদের একটি কমিটি রয়েছে এখানে। ইতোমধ্যে আমার কাছে ১৩৮টি অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখবো।

যারা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন আমি শ্রমিক নেতাদের বলব, ফৌজদারি অপরাধকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। যারা আগুন দিয়েছে তাদের ধরলে আপনারা ব্যারিকেড দিয়ে বলবেন ছেড়ে দিতে, সেটা করা যাবে না।’

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে চাষাঢ়ায় অবস্থিত বিকেএমইএ’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এইসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘আমি মালিক পক্ষকে নিয়ে হতাশ। আমাদের শ্রমিক প্রতিনিধিদের কথা শোনার ধৈর্য্য না থাকলে তো এটা সমাধান হবে না। সুতরাং কথা শুনতে হবে। শ্রমিকদের সাথে ম্যানেজমেন্টের সাথে অনেক বিভেদ রয়েছে। আমাদের এসব জায়গায় ফোকাস করা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে ইন্ডাস্ট্রির চাকা চালু রাখতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে মালিকদের যেমন লস হবে তেমনি শ্রমিকরাও কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে আমাদের দেশ থেকে অনেক অর্ডার চলে গেছে, ক্রিসমাসের অর্ডার বেশির ভাগই চলে গেছে। পাশাপাশি আন্দোলনের সময় অনেক দিন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ ছিল। এছাড়াও গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এগুলো মেনে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

সভার সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে- শিল্প পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি মো. সিবগাত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ জেলার সেনাবাহীনির কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেল কর্নেল আতিক ও বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

এসময় শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে- বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট মন্টু ঘোষ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি ও মডেল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদুজ্জামান মাসুদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা কাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও এই আলোচনায় অংশ নেয় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কারখানার মালিকবৃন্দ।