০৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হারিয়ে যাচ্ছে প্রজাপতি

ফাইল ছবি

print news

প্রাণিকুলে অনিন্দ্যসুন্দর যেসব পতঙ্গ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রজাপতি। ফুল আর পত্রপল্লবে এটির বিচরণ মানুষের মনে অন্য রকম এক অনুভূতি দেয়। শুধু তাই নয়, উদ্ভিদের পরাগায়নেও এটির ভূমিকা অনেক।

কিন্তু প্রকৃতির এই অনন্য পতঙ্গ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য পতঙ্গের সঙ্গে মিডওয়েস্ট বা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-মধ্য রাজ্যগুলোতে ব্যাপক হারে কমছে প্রজাপতি। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলস ওয়ানের গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রজাপতিসহ অন্যান্য পোকামাকড়ের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন ও এদের বাসস্থান কমে যাওয়ার প্রভাব রয়েছে।

images 5

শুধু তাই নয়, গবেষণা বলছে, কৃষি খামারে ক্রমবর্ধমানভাবে কীটনাশক প্রয়োগের ফলেও পতঙ্গ কমছে দিন দিন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মিডওয়েস্টে প্রজাপতির আকার ও বৈচিত্র্যের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।

গবেষকরা বলছেন, সবচেয়ে ক্ষতিকর ছিল নিওনিকোটিনয়েড নামে বহুল ব্যবহৃত কীটনাশক, যা উদ্ভিদের টিস্যুতে শোষিত হয়।

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণার অন্যতম লেখক স্কট সুইন্টন বলেছেন, ‘এটির ব্যবহারের ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রজাতিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এর আগে মৌমাছির জন্য ঝুঁকি উল্লেখ করে ২০১৮ সালে ইউরোপে নিওনিকোটিনয়েড নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এই প্রজাপতি পাখিদের অন্যতম খাদ্যও। কিন্তু প্রজাপতিসহ পোকামাকড় কমে যাওয়ায় পাখিদের বেঁচে থাকাও কঠিন হচ্ছে। গবেষণা বলছে, কিছু পাখি হারিয়ে গেছে পোকামাকড় কমে যাওয়ার কারণে।

জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির লেখক ও বাস্তুবিদ্যার অধ্যাপক লেসলি রিস বলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম গত ১০ বছর। পতঙ্গের ওপর এর প্রভাব কী, এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে।’

কাজী মনিরুজ্জামান মিথ্যাবাদী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিরস্কার করেছিলেন : রুহুল আমিন

হারিয়ে যাচ্ছে প্রজাপতি

প্রকাশিত : ১০:২১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
print news

প্রাণিকুলে অনিন্দ্যসুন্দর যেসব পতঙ্গ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রজাপতি। ফুল আর পত্রপল্লবে এটির বিচরণ মানুষের মনে অন্য রকম এক অনুভূতি দেয়। শুধু তাই নয়, উদ্ভিদের পরাগায়নেও এটির ভূমিকা অনেক।

কিন্তু প্রকৃতির এই অনন্য পতঙ্গ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য পতঙ্গের সঙ্গে মিডওয়েস্ট বা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-মধ্য রাজ্যগুলোতে ব্যাপক হারে কমছে প্রজাপতি। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলস ওয়ানের গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রজাপতিসহ অন্যান্য পোকামাকড়ের ওপর জলবায়ু পরিবর্তন ও এদের বাসস্থান কমে যাওয়ার প্রভাব রয়েছে।

images 5

শুধু তাই নয়, গবেষণা বলছে, কৃষি খামারে ক্রমবর্ধমানভাবে কীটনাশক প্রয়োগের ফলেও পতঙ্গ কমছে দিন দিন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মিডওয়েস্টে প্রজাপতির আকার ও বৈচিত্র্যের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।

গবেষকরা বলছেন, সবচেয়ে ক্ষতিকর ছিল নিওনিকোটিনয়েড নামে বহুল ব্যবহৃত কীটনাশক, যা উদ্ভিদের টিস্যুতে শোষিত হয়।

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণার অন্যতম লেখক স্কট সুইন্টন বলেছেন, ‘এটির ব্যবহারের ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রজাতিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এর আগে মৌমাছির জন্য ঝুঁকি উল্লেখ করে ২০১৮ সালে ইউরোপে নিওনিকোটিনয়েড নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এই প্রজাপতি পাখিদের অন্যতম খাদ্যও। কিন্তু প্রজাপতিসহ পোকামাকড় কমে যাওয়ায় পাখিদের বেঁচে থাকাও কঠিন হচ্ছে। গবেষণা বলছে, কিছু পাখি হারিয়ে গেছে পোকামাকড় কমে যাওয়ার কারণে।

জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির লেখক ও বাস্তুবিদ্যার অধ্যাপক লেসলি রিস বলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম গত ১০ বছর। পতঙ্গের ওপর এর প্রভাব কী, এ বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে।’