০৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

আইভীর উপর কালো নজর

২০০৩ সাল ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা চেয়ারম্যান থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র দায়িত্ব পালন করেছে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তাঁর দায়িত্ব পালনে শহর, সিদ্দিরগঞ্জ থানা ও বন্দর থানা এলাকা উন্নয়নের চাপ রয়েছে চারিদিকে। সেই সাবেক মেয়র আইভীর উপর আবারো কালো নজর পড়েছে।

আওয়ামীলীগ সরকার আমলেও আইভী বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান করা হলেও পরে নিশ্চুপ হয়ে পড়ে। এবার অন্তর্বতীকালীন সরকারের এক মাস পর দুদক আবারো আইভীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আইভীর বিরুদ্ধেও তারা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রায় ৮ বছর নারাণয়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান থেকে মেয়র ও ১৩ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ক্লিন ইমেজের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রকল্পে অনিয়ম, রেলের জমি দখল, জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আবারো উঠেছে। অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠেছে তার দুই ভাই ও ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধেও।

তবে আইভীর দাবি, এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবেন তিনি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশের সবগুলো সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। গত ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। একইদিনে আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০০৩ সালে জানুয়ারিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে প্রথম নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালের অক্টোবরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ ও ২০২২ সালে ফের মেয়র নির্বাচিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আইভী।

নির্মিত শেখ রাসেল পার্ক নগরীর দেওভোগ এলাকায় রেলের ১৮ একর জমি দখল করে গড়ে তোলেন আইভী। অভিযোগ আছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কাজ বাগিয়ে পার্কের কাজ করেছেন তিনি। জমি দখলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি আইভী।

নারায়ণগঞ্জের হোয়াইট হাউজ নিয়ে সমালোচিত সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি থাকেন পশ্চিম দেওভোগ এলাকার অট্টালিকায়। সাদা রঙের অট্টালিকার নাম চুনকা কুটির। অনেকেই এটিকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের হোয়াইট হাউজ। নয়নাভিরাম চুনকা কুটিরের পাশেই রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট খানকাহ শরিফ।

স্থানীয়দের দাবি, চুনকা কুটিরের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করলেও আইভীর আয়কর নথিতে বাড়ি তৈরির কোনো তথ্য নেই। আইভী ২০২০-২০২১ করবর্ষে যে তথ্য দিয়েছেন তাতে উল্লেখ রয়েছে, তার মোট অর্জিত তহবিল ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ও নিট সম্পদ ২৩ লাখ ৭২ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন ১২ শতাংশ জমি।

হলফনামায় সূত্রে ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আইভী উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সম্মানী ছাড়া তার এখন কোনো আয়ের উৎস নেই। নাসিক মেয়র হিসেবে তিনি বছরে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা সম্মানী পান। তার কাছে বর্তমানে আছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০১ টাকা। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা আছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৯০৫ টাকা। স্বর্ণ ও অলংকার আছে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের। এছাড়া তার আর কোনো সম্পদ নেই।

কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। এ বিষয়ে আইভী বলেন, ‘এই বাড়ি আমার না। এটা আমার বাবার (স্বাধীনতার পর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকা) পৈতৃক সম্পত্তি। খানকাহ শরিফ আমার বাবা দান করে গেছেন। এই বাসা করতে গিয়ে প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এটা একটা চারতলা বাড়ি।’

এছাড়া আইভী নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চিত্তবিনোদন ক্লাব ভেঙে মার্কেট নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকার দোকান বরাদ্দ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ আছে। আইভী ও তার সহযোগীদের একাধিক ব্যাংক হিসাবে লোপাটের টাকা আছে। আইভীর দুই ভাই আলী রেজা রিপন ও আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শোভাবর্ধন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পাইকপাড়া মিউডুয়েল ক্লাব পুনর্র্নিমাণ প্রকল্প, কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি লোপাট করেছেন বলে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে সেলিনা হায়াৎ আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরেই রয়েছে ৪-৫টি ফ্ল্যাট, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা। দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন আইভীর গাড়িচালক মো. বিল্লাল হোসেনও। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বরফ কল ও পানির কল এলাকায় প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার।

আবারো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে সমালোচিত সৃষ্টি হয়েছে। তার সহকারী আবুল হোসেনের দুর্নীতি কারণে মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই কালো নজরে কারণে আইভী এবার জবাবদিহিতা পড়তে যাচ্ছেন।

জনপ্রিয়

না.গঞ্জে মহাসপ্তমীতে মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি

আইভীর উপর কালো নজর

প্রকাশিত : ০১:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২০০৩ সাল ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা চেয়ারম্যান থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র দায়িত্ব পালন করেছে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তাঁর দায়িত্ব পালনে শহর, সিদ্দিরগঞ্জ থানা ও বন্দর থানা এলাকা উন্নয়নের চাপ রয়েছে চারিদিকে। সেই সাবেক মেয়র আইভীর উপর আবারো কালো নজর পড়েছে।

আওয়ামীলীগ সরকার আমলেও আইভী বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান করা হলেও পরে নিশ্চুপ হয়ে পড়ে। এবার অন্তর্বতীকালীন সরকারের এক মাস পর দুদক আবারো আইভীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আইভীর বিরুদ্ধেও তারা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রায় ৮ বছর নারাণয়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান থেকে মেয়র ও ১৩ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ক্লিন ইমেজের এই নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রকল্পে অনিয়ম, রেলের জমি দখল, জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আবারো উঠেছে। অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠেছে তার দুই ভাই ও ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধেও।

তবে আইভীর দাবি, এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবেন তিনি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশের সবগুলো সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। গত ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। একইদিনে আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০০৩ সালে জানুয়ারিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে প্রথম নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালের অক্টোবরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ ও ২০২২ সালে ফের মেয়র নির্বাচিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আইভী।

নির্মিত শেখ রাসেল পার্ক নগরীর দেওভোগ এলাকায় রেলের ১৮ একর জমি দখল করে গড়ে তোলেন আইভী। অভিযোগ আছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কাজ বাগিয়ে পার্কের কাজ করেছেন তিনি। জমি দখলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি আইভী।

নারায়ণগঞ্জের হোয়াইট হাউজ নিয়ে সমালোচিত সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি থাকেন পশ্চিম দেওভোগ এলাকার অট্টালিকায়। সাদা রঙের অট্টালিকার নাম চুনকা কুটির। অনেকেই এটিকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের হোয়াইট হাউজ। নয়নাভিরাম চুনকা কুটিরের পাশেই রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট খানকাহ শরিফ।

স্থানীয়দের দাবি, চুনকা কুটিরের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করলেও আইভীর আয়কর নথিতে বাড়ি তৈরির কোনো তথ্য নেই। আইভী ২০২০-২০২১ করবর্ষে যে তথ্য দিয়েছেন তাতে উল্লেখ রয়েছে, তার মোট অর্জিত তহবিল ১৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ও নিট সম্পদ ২৩ লাখ ৭২ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া পৈতৃক সূত্রে পেয়েছেন ১২ শতাংশ জমি।

হলফনামায় সূত্রে ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আইভী উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সম্মানী ছাড়া তার এখন কোনো আয়ের উৎস নেই। নাসিক মেয়র হিসেবে তিনি বছরে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা সম্মানী পান। তার কাছে বর্তমানে আছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০১ টাকা। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা আছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৯০৫ টাকা। স্বর্ণ ও অলংকার আছে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের। এছাড়া তার আর কোনো সম্পদ নেই।

কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। এ বিষয়ে আইভী বলেন, ‘এই বাড়ি আমার না। এটা আমার বাবার (স্বাধীনতার পর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকা) পৈতৃক সম্পত্তি। খানকাহ শরিফ আমার বাবা দান করে গেছেন। এই বাসা করতে গিয়ে প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এটা একটা চারতলা বাড়ি।’

এছাড়া আইভী নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চিত্তবিনোদন ক্লাব ভেঙে মার্কেট নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকার দোকান বরাদ্দ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ আছে। আইভী ও তার সহযোগীদের একাধিক ব্যাংক হিসাবে লোপাটের টাকা আছে। আইভীর দুই ভাই আলী রেজা রিপন ও আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, ধলেশ্বরী নদী পর্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শোভাবর্ধন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পাইকপাড়া মিউডুয়েল ক্লাব পুনর্র্নিমাণ প্রকল্প, কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি লোপাট করেছেন বলে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে সেলিনা হায়াৎ আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরেই রয়েছে ৪-৫টি ফ্ল্যাট, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা। দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন আইভীর গাড়িচালক মো. বিল্লাল হোসেনও। নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বরফ কল ও পানির কল এলাকায় প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার।

আবারো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে সমালোচিত সৃষ্টি হয়েছে। তার সহকারী আবুল হোসেনের দুর্নীতি কারণে মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দুদকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই কালো নজরে কারণে আইভী এবার জবাবদিহিতা পড়তে যাচ্ছেন।