১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

কাজী মনিরুজ্জামান মিথ্যাবাদী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিরস্কার করেছিলেন : রুহুল আমিন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে মিথ্যাবাদী ও টাউট বলে আখ্যা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন। নানা সময়ে কাজী মনিরের অতিকথন ও মিথ্যাচারের কারনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে তিরস্কার করেছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রুহুল আমিন সিকদার সোমবার নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র এক মতবিনিময় সভায় কাজী মনিরের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করে এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ২০০১ সালে সেলিম ওসমান এই এলাকায় তার কারখানার পাশের জায়গা দখল করেছিল। জায়গা রেজিস্ট্রি না থাকায় সেসময় জায়গার মালিকরা গিয়ে সেই জায়গাটা দখল করে। সেসময় মোহাম্মদ আলী সাহেব আমাদের বলেছিল দেখ কী হয়েছে। পরে আমরা গিয়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দিয়েছিলাম।

২০০১ সালে তার (কাজী মনিরুজ্জামান) কোন অস্তিত্বই ছিল না। তিনি এখানে আসেনও নি। তিনি তখন বিএনপির কেউ ছিলেন না। এগুলো সব বাটপারি।

তিনি বলেন, সেসময় তিনি বিজিএমইএর কী সেটা পরের ব্যাপার। তার কথা আমরা শুনবো এমন কোন ব্যাপার ছিল না। কাজী মনির সাহেব নিজেকে জাহির করার জন্য মিথ্যা কথা বলেছেন। তিনি এখানে টাউটগিরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, সেসময় শামীম ওসমান ছিল গডফাদার। শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান জায়গা দখল করায় মানুষ তাদের জায়গা উদ্ধার করতে গেলে মোহাম্মদ আলীর কথায় আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে সেখানে মিলটি রক্ষা করতে যাই।

২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে স্কাইপে মিটিংয়ে মামুন মাহমুদ, রোজেল ও পান্না মোল্লার সামনে তাকে তারেক রহমান তিরস্কার করেছিল। তিনি মাইক পেলেই মিথ্যা কথা বলে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছিল আপনি আমার বাবার সাথে রাজনীতি করেছেন তাই আপনার কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে কোথাও আমি পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেব না। আপনি এই কমিটির পরিচিতি সভাটা সুন্দরভাবে করবেন এবং সালাম সাহেবকে সেখানে রাখবেন। সেসময় কাজী মনির বলেছিল যে, নারায়ণগঞ্জে তো করার পরিবেশ নেই। এখানে বিএনপির সকল নেতারা মামলায় জর্জরিত। তখন তারেক রহমান বলেছিলেন মনির ভাই আপনি একটু আগে বললেন আপনি অনেক মামলার আসামি হয়েছেন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আরেকটি প্রোগ্রাম করে নাহয় আরেকটি মামলার আসামি হবেন। কী হবে এতে। সেসময় তারেক রহমানের কথা না রাখায় তার কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে প্রথমে তিনি মনোনয়ন পায়নি। তখন তিনি গুলশান অফিসের বাথরুমের টাংকির ওপরে লোকজনকে জড়িয়ে কান্না করেছেন। তিনি ওয়ানম্যান শো হয়ে মনোনয়ন আনতে গিয়েছিলেন।

জনপ্রিয়

না.গঞ্জে মহাসপ্তমীতে মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি

কাজী মনিরুজ্জামান মিথ্যাবাদী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিরস্কার করেছিলেন : রুহুল আমিন

প্রকাশিত : ০৩:২১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনিরকে মিথ্যাবাদী ও টাউট বলে আখ্যা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন। নানা সময়ে কাজী মনিরের অতিকথন ও মিথ্যাচারের কারনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে তিরস্কার করেছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রুহুল আমিন সিকদার সোমবার নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ’র এক মতবিনিময় সভায় কাজী মনিরের দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করে এক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ২০০১ সালে সেলিম ওসমান এই এলাকায় তার কারখানার পাশের জায়গা দখল করেছিল। জায়গা রেজিস্ট্রি না থাকায় সেসময় জায়গার মালিকরা গিয়ে সেই জায়গাটা দখল করে। সেসময় মোহাম্মদ আলী সাহেব আমাদের বলেছিল দেখ কী হয়েছে। পরে আমরা গিয়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দিয়েছিলাম।

২০০১ সালে তার (কাজী মনিরুজ্জামান) কোন অস্তিত্বই ছিল না। তিনি এখানে আসেনও নি। তিনি তখন বিএনপির কেউ ছিলেন না। এগুলো সব বাটপারি।

তিনি বলেন, সেসময় তিনি বিজিএমইএর কী সেটা পরের ব্যাপার। তার কথা আমরা শুনবো এমন কোন ব্যাপার ছিল না। কাজী মনির সাহেব নিজেকে জাহির করার জন্য মিথ্যা কথা বলেছেন। তিনি এখানে টাউটগিরি করেছে।

তিনি আরও বলেন, সেসময় শামীম ওসমান ছিল গডফাদার। শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান জায়গা দখল করায় মানুষ তাদের জায়গা উদ্ধার করতে গেলে মোহাম্মদ আলীর কথায় আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে সেখানে মিলটি রক্ষা করতে যাই।

২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে স্কাইপে মিটিংয়ে মামুন মাহমুদ, রোজেল ও পান্না মোল্লার সামনে তাকে তারেক রহমান তিরস্কার করেছিল। তিনি মাইক পেলেই মিথ্যা কথা বলে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান বলেছিল আপনি আমার বাবার সাথে রাজনীতি করেছেন তাই আপনার কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে কোথাও আমি পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেব না। আপনি এই কমিটির পরিচিতি সভাটা সুন্দরভাবে করবেন এবং সালাম সাহেবকে সেখানে রাখবেন। সেসময় কাজী মনির বলেছিল যে, নারায়ণগঞ্জে তো করার পরিবেশ নেই। এখানে বিএনপির সকল নেতারা মামলায় জর্জরিত। তখন তারেক রহমান বলেছিলেন মনির ভাই আপনি একটু আগে বললেন আপনি অনেক মামলার আসামি হয়েছেন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আরেকটি প্রোগ্রাম করে নাহয় আরেকটি মামলার আসামি হবেন। কী হবে এতে। সেসময় তারেক রহমানের কথা না রাখায় তার কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে প্রথমে তিনি মনোনয়ন পায়নি। তখন তিনি গুলশান অফিসের বাথরুমের টাংকির ওপরে লোকজনকে জড়িয়ে কান্না করেছেন। তিনি ওয়ানম্যান শো হয়ে মনোনয়ন আনতে গিয়েছিলেন।