০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

সেন্টু রিয়াদকে কড়া ভর্ৎসনা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে কড়া ভাষায় হুশিয়ারী করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে জালকুড়ি কড়ইতলায় কাজী বাড়ি মাঠে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

এ সভা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। কারণ পাশেই শ্রমিক দলের ব্যানারে আরো একটি কর্মসূচী ডাক দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক দুই পক্ষকে ডাকেন। তখন শ্রমিক দল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন।

গিয়াসউদ্দিন এ প্রসঙ্গে সমাবেশে বলেন, এ সমাবেশ নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরে আমি জেলা প্রশাসনকে বলেছি আমি জেলা বিএনপির সভাপতি আমি কর্মী নিয়ে সমাবেশ করবো। আমার কোন নিরাপত্তার প্রয়োজন নাই। তার পর অপর পক্ষ তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমি বিগত দিনে সিংহের গর্জনকেই ভয় পাই নাই সেখানে বিড়ালের খেচখানিতে বিড়াল ছানাকে ভয় পাবো কেন। আমি গডফাদার সিংহের সঙ্গে লড়াই করেই টিকে আছি। এখন কিছু বিড়াল আমাকে খামচাতে চায়, ভয় দেখাতে চান সাবধান হয়ে যান।

বিগত দিনে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ব্যবসা বাণিজ্য করে অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন তারাই এখন বিএনপির নেতা সেজে নানা ধরনের লুটপাট করে যাচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে চিহ্নিত। তাদের কারণে আজ বিএনপি বিতর্কিত হচ্ছে। যারা অপরাধ করেছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। যদি আমার নেতাকর্মীরা তাদের মাফ করে তাহলে আমি ভেবে দেখবো’।

১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ফতুল্লার জালকুড়িতে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গিয়াসউদ্দিন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা যখন গত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করছিলাম তখন যারা শামীম ওসমানের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তার ছেলে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইন্টারনেট, ভূমিদস্যুতা, তেল চুরি করে অর্থ সম্পদে বলিয়ান হয়েছে। এখন সেই তারাই ৫ আগস্ট থেকে এই ফতুল্লায় লুটপাট, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করছে। তাদের কবল থেকে ছোট দোকানও রেহায় পাচ্ছে না। এদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ।

তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধা নিতে দলের চরম দুঃসময়ে দল থেকে সরে গিয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছে, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী করেছে। সে নাকি এখন আবার বিএনপিতে ফিরতে চায়। ভুলেও না। সে এখন পচা মাল। এই মাল এখন আর বিএনপি খায় না।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, প্রশাসনকে সবময় সহযোগিতা করতে হবে। ৫ তারিখ থেকে ফতুল্লায় যারা লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়েছে তারা কারা আপনারা জানেন। তাদের তালিকা প্রশাসনকে দিবেন। না পারলে আমাদের দিবেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আমি গিয়াসউদ্দিন অন্তত তাদেরকে ক্ষমা করবো না। তারা মীরজাফার। তারা দলের সঙ্গে বেঈমানি করেছে, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেছে। নৌকা মার্কার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক হতে পারে না। আমি তাদের মুখে থু দিই।

তিনি বলেন, এখানে শ্রমিক দলের সভাপতি আছেন। তিনি বলেছেন কিছু মানুষ এখানে শ্রমিক দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছে। সেই তারাই আজকের সভা বানচাল করতে চেয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সন্ত্রাসী। চাঁদাবাজ।

তিনি আরও বলেন, সেদিন ফতুল্লায় বিএনপি একটি শান্তির মিছিল বের করলে একদল চাঁদাবাজ সেই মিছিলে হামলা চালায়িছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে। এরা গত ৫ আগস্ট থেকে ব্যাপকভাবে লুটপাট ভাঙচুর চাঁদাবাজি করছে। তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী।

কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনিপর সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মাহমুদুল হক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন প্রমুখ।

জনপ্রিয়

না.গঞ্জে মহাসপ্তমীতে মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি

সেন্টু রিয়াদকে কড়া ভর্ৎসনা

প্রকাশিত : ০২:১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে কড়া ভাষায় হুশিয়ারী করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে জালকুড়ি কড়ইতলায় কাজী বাড়ি মাঠে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।

এ সভা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। কারণ পাশেই শ্রমিক দলের ব্যানারে আরো একটি কর্মসূচী ডাক দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক দুই পক্ষকে ডাকেন। তখন শ্রমিক দল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন।

গিয়াসউদ্দিন এ প্রসঙ্গে সমাবেশে বলেন, এ সমাবেশ নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরে আমি জেলা প্রশাসনকে বলেছি আমি জেলা বিএনপির সভাপতি আমি কর্মী নিয়ে সমাবেশ করবো। আমার কোন নিরাপত্তার প্রয়োজন নাই। তার পর অপর পক্ষ তাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘আমি বিগত দিনে সিংহের গর্জনকেই ভয় পাই নাই সেখানে বিড়ালের খেচখানিতে বিড়াল ছানাকে ভয় পাবো কেন। আমি গডফাদার সিংহের সঙ্গে লড়াই করেই টিকে আছি। এখন কিছু বিড়াল আমাকে খামচাতে চায়, ভয় দেখাতে চান সাবধান হয়ে যান।

বিগত দিনে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ব্যবসা বাণিজ্য করে অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন তারাই এখন বিএনপির নেতা সেজে নানা ধরনের লুটপাট করে যাচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে চিহ্নিত। তাদের কারণে আজ বিএনপি বিতর্কিত হচ্ছে। যারা অপরাধ করেছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। যদি আমার নেতাকর্মীরা তাদের মাফ করে তাহলে আমি ভেবে দেখবো’।

১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ফতুল্লার জালকুড়িতে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গিয়াসউদ্দিন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা যখন গত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করছিলাম তখন যারা শামীম ওসমানের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তার ছেলে ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইন্টারনেট, ভূমিদস্যুতা, তেল চুরি করে অর্থ সম্পদে বলিয়ান হয়েছে। এখন সেই তারাই ৫ আগস্ট থেকে এই ফতুল্লায় লুটপাট, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি করছে। তাদের কবল থেকে ছোট দোকানও রেহায় পাচ্ছে না। এদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ।

তিনি আরও বলেন আওয়ামী লীগ থেকে সুবিধা নিতে দলের চরম দুঃসময়ে দল থেকে সরে গিয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছে, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী করেছে। সে নাকি এখন আবার বিএনপিতে ফিরতে চায়। ভুলেও না। সে এখন পচা মাল। এই মাল এখন আর বিএনপি খায় না।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, প্রশাসনকে সবময় সহযোগিতা করতে হবে। ৫ তারিখ থেকে ফতুল্লায় যারা লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়েছে তারা কারা আপনারা জানেন। তাদের তালিকা প্রশাসনকে দিবেন। না পারলে আমাদের দিবেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। আমি গিয়াসউদ্দিন অন্তত তাদেরকে ক্ষমা করবো না। তারা মীরজাফার। তারা দলের সঙ্গে বেঈমানি করেছে, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করেছে। নৌকা মার্কার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক হতে পারে না। আমি তাদের মুখে থু দিই।

তিনি বলেন, এখানে শ্রমিক দলের সভাপতি আছেন। তিনি বলেছেন কিছু মানুষ এখানে শ্রমিক দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছে। সেই তারাই আজকের সভা বানচাল করতে চেয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সন্ত্রাসী। চাঁদাবাজ।

তিনি আরও বলেন, সেদিন ফতুল্লায় বিএনপি একটি শান্তির মিছিল বের করলে একদল চাঁদাবাজ সেই মিছিলে হামলা চালায়িছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে। এরা গত ৫ আগস্ট থেকে ব্যাপকভাবে লুটপাট ভাঙচুর চাঁদাবাজি করছে। তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের পরিচয় তারা সন্ত্রাসী।

কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনিপর সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মাহমুদুল হক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন প্রমুখ।