০১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোরবানি উপলক্ষে জমেছে হোগলা-খাইট্টা কেনাবেচা

সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় হোগলা ও খাটিয়া কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছে নগরবাসী। কোরবানির উৎসবকে ঘিরে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় স্বল্প সময়ের জন্য হোগলা-খাটিয়ার পসরা বসেছে।

এরই সাথে বাজারের অনেক দোকানের পণ্যদের সাথে সাজানো হয়েছে হোগলা, খাটিয়া ছুরি। পছন্দের পশু কোরবানির জন্য ক্রেতারা ছুরি-চাপাতি, ঝুঁড়ি, দড়িসহ প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করছেন।

রবিবার (১৬ জুন) কালিরবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন দোকানী বাঁশ ও হোগল পাতার তৈরী চাটাই, ঝুঁড়ি, গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরী খাইট্টা (খাটিয়া) নিয়ে বসেছেন।

এছাড়াও ছুঁড়ি, চাপাতি ও পশু জবাইয়ের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিক্রি করছেন কেউ কেউ। এসকল দোকানে ক্রেতাদের ভিড় জমতে দেখা গেছে। ধরে-বেছে পছন্দ করে হোগলা, খাটিয়া কিংবা ছুঁড়ি ক্রয় করছেন।

hogla 001

খাটিয়া বিক্রেতা আকাশ বলেন, তেঁতুল গাছের গুঁড়ি কোরবানির পশু কাটতে সবচেয়ে বেশি ভালো। তাই তেঁতুল গাছের খাইট্টা বিক্রি করছি। বিভিন্ন সাইজের খাইট্টা আছে, যেগুলো সর্বনিম্ন ৫৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। ক্রেতাদের চাহিদা আছে বেশ, আজকে সম্ভবত সব বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

দোকানীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, পাশের জেলা মুন্সিগঞ্জ থেকে বিভিন্ন হোগলা, ঝুঁড়ি প্রস্তুতকারকদের থেকে বেশির ভাগ মালামাল আনা হয়েছে। লম্বায় ৫ হাত ও চওড়ায় ৪ হাত আকৃতির হোগলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, এর চেয়ে কিছুটা ছোট আকৃতির হোগলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়।

ছোট ও বাড় আকৃতির বাঁশের ঝুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়। তেঁতুল গাছের খাটিয়া আকারভেদে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

hogla 003

আল নাহিয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির জন্য কাল রাতেই গরু বাসায় এনেছি। আজকে ৩ টা হোগলা আর ২ টা ছোট ঝুঁড়ি নিয়েছি। আর মাংস কাটার জন্য ২ টা খাইট্টা নিয়েছি। বাসায় আগের ছুঁড়ি ধার করা আছে তাই নতুন করে এগুলো কেনার লাগছে না।

hogla 004

ছুরি-চাপাতি বিক্রেতা সেলিম বলেন, গরু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ টাকায় বিক্রি করছি, ছোট ছুরি দুই রকমের ৩০০ ও ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়াও চাপাতি বিক্রি করছি ৮০০ টাকা। এগুলো এখানকার কামারশালা থেকেই এনেছি। এছাড়া চাইনিজ ছুরি আছে কিন্তু তাদের চাহিদা কম দেখছি।

ছুরি কিনতে আসা মোহসিন মিয়া বলেন, কাল কোরবানির গরুর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটার অনেক কাজ পেয়েছি। এর জন্য ভালো ছুরি দরকার। বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরেছি। ২টা নিয়েছি, যদিও এগুলো একটু ধার করিয়ে নিতে হবে।

কোরবানি উপলক্ষে জমেছে হোগলা-খাইট্টা কেনাবেচা

প্রকাশিত : ০৭:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

সোমবার পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় হোগলা ও খাটিয়া কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছে নগরবাসী। কোরবানির উৎসবকে ঘিরে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় স্বল্প সময়ের জন্য হোগলা-খাটিয়ার পসরা বসেছে।

এরই সাথে বাজারের অনেক দোকানের পণ্যদের সাথে সাজানো হয়েছে হোগলা, খাটিয়া ছুরি। পছন্দের পশু কোরবানির জন্য ক্রেতারা ছুরি-চাপাতি, ঝুঁড়ি, দড়িসহ প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করছেন।

রবিবার (১৬ জুন) কালিরবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন দোকানী বাঁশ ও হোগল পাতার তৈরী চাটাই, ঝুঁড়ি, গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরী খাইট্টা (খাটিয়া) নিয়ে বসেছেন।

এছাড়াও ছুঁড়ি, চাপাতি ও পশু জবাইয়ের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি বিক্রি করছেন কেউ কেউ। এসকল দোকানে ক্রেতাদের ভিড় জমতে দেখা গেছে। ধরে-বেছে পছন্দ করে হোগলা, খাটিয়া কিংবা ছুঁড়ি ক্রয় করছেন।

hogla 001

খাটিয়া বিক্রেতা আকাশ বলেন, তেঁতুল গাছের গুঁড়ি কোরবানির পশু কাটতে সবচেয়ে বেশি ভালো। তাই তেঁতুল গাছের খাইট্টা বিক্রি করছি। বিভিন্ন সাইজের খাইট্টা আছে, যেগুলো সর্বনিম্ন ৫৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। ক্রেতাদের চাহিদা আছে বেশ, আজকে সম্ভবত সব বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

দোকানীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, পাশের জেলা মুন্সিগঞ্জ থেকে বিভিন্ন হোগলা, ঝুঁড়ি প্রস্তুতকারকদের থেকে বেশির ভাগ মালামাল আনা হয়েছে। লম্বায় ৫ হাত ও চওড়ায় ৪ হাত আকৃতির হোগলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, এর চেয়ে কিছুটা ছোট আকৃতির হোগলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়।

ছোট ও বাড় আকৃতির বাঁশের ঝুঁড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়। তেঁতুল গাছের খাটিয়া আকারভেদে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

hogla 003

আল নাহিয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানির জন্য কাল রাতেই গরু বাসায় এনেছি। আজকে ৩ টা হোগলা আর ২ টা ছোট ঝুঁড়ি নিয়েছি। আর মাংস কাটার জন্য ২ টা খাইট্টা নিয়েছি। বাসায় আগের ছুঁড়ি ধার করা আছে তাই নতুন করে এগুলো কেনার লাগছে না।

hogla 004

ছুরি-চাপাতি বিক্রেতা সেলিম বলেন, গরু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ টাকায় বিক্রি করছি, ছোট ছুরি দুই রকমের ৩০০ ও ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়াও চাপাতি বিক্রি করছি ৮০০ টাকা। এগুলো এখানকার কামারশালা থেকেই এনেছি। এছাড়া চাইনিজ ছুরি আছে কিন্তু তাদের চাহিদা কম দেখছি।

ছুরি কিনতে আসা মোহসিন মিয়া বলেন, কাল কোরবানির গরুর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটার অনেক কাজ পেয়েছি। এর জন্য ভালো ছুরি দরকার। বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরেছি। ২টা নিয়েছি, যদিও এগুলো একটু ধার করিয়ে নিতে হবে।