১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আড়াইহাজার থেকে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার থেকে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। রবিবার (৫ মে) মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মানবপাচার চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির (৪২), তার দুই সহযোগী রিজাউল ফকির (৬৫) ও তাসলিমা বেগম (৫৫)।

র‍্যাব জানায়, এ চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া থেকে মানব পাচারের কাজ করে আসছে। ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখের ছেলে জুবায়েদকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখায়।

জুবায়েদের হতদরিদ্র বাবা-মা জায়গা-জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করে মানবপাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেয়।

২০২২ সালের ২৯ আগষ্ট গ্রেপ্তারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে জুবায়েদকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয়।

এরপর থেকে জুবায়েদের আর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আরো ১০ লাখ টাকা দাবী করে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে।

এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন ফোন করে জানায় তাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে এবং ট্রলারে করে তাকে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে।

তার বাবা-মা এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ৬ লাখ টাকা দিলেও তার ছেলেকে অদ্যাবধি খুঁজে না পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সূত্রধরেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থেকে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১০:০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

আড়াইহাজার থেকে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে মানবপাচার চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। রবিবার (৫ মে) মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মানবপাচার চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির (৪২), তার দুই সহযোগী রিজাউল ফকির (৬৫) ও তাসলিমা বেগম (৫৫)।

র‍্যাব জানায়, এ চক্রের মূলহোতা মিলন ফকির দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া থেকে মানব পাচারের কাজ করে আসছে। ফরিদপুরের ভাংগা থানার গোয়ালদী গ্রামের সহিদুল শেখের ছেলে জুবায়েদকে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালিতে মোটা টাকার বেতনের চাকরীর প্রলোভন দেখায়।

জুবায়েদের হতদরিদ্র বাবা-মা জায়গা-জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করে মানবপাচার চক্রের সদস্য রিজাউল ফকির ও তাসলিমা বেগমকে দেয়।

২০২২ সালের ২৯ আগষ্ট গ্রেপ্তারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে জুবায়েদকে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিয়ে লিবিয়া পাঠিয়ে দেয়।

এরপর থেকে জুবায়েদের আর খোঁজ না পেয়ে তার বাবা-মা মূলহোতা মিলনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আরো ১০ লাখ টাকা দাবী করে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবার কথা বলে।

এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুবায়েদ একদিন ফোন করে জানায় তাকে প্রচুর অত্যাচার করেছে এবং ট্রলারে করে তাকে সাগরে নিয়ে যাচ্ছে।

তার বাবা-মা এতে আতঙ্কিত হয়ে মূলহোতা মিলনকে আরো ৬ লাখ টাকা দিলেও তার ছেলেকে অদ্যাবধি খুঁজে না পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬/৭/৮ ও ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সূত্রধরেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।