০১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে বেনজীর আহমেদের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাংলো বাড়ি জব্দ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাংলো বাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত টিম রূপগঞ্জের আনন্দ হাউজিং সোসাইটি এলাকার এই বাড়িটি জব্দ করে।

তথ্যটি নিশ্চিত করে দুদকের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচলাক মঈনুল হাসান রওশনী জানান, বাড়িটি ক্রোকের সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও দুদকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আদালতের আদেশানুসারে বাড়িটিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হবে।

2f2a132827030b52d98be6ce3675cd71b2935751fc5a2292

জানা যায়, বেনজীর প্রায় আট বছর আগে এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ওই জায়গাটি কিনে নেন। ২০২২ সালে এই জমিতে ওই বাড়ি করেন তিনি।

বেনজীর মাঝেমধ্যেই এ বাড়িতে আসতেন, রাত্রিযাপনও করতেন। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বাড়িটিতে কেয়ারটেকারের পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা হয়েছে।

এর আগে গোপালগঞ্জে বিশাল এলাকাজুড়ে রিসোর্ট, রাজধানীর গুলশানে ১০ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট (চারটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে), বান্দরবানে ২৫ একর বাগানবাড়িতে রিসিভার নিয়োগ দিয়ে তত্ত্বাবধানে নেয় প্রশাসন।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন আদালত তৃতীয় দফায় বেনজীরের আরও বিপুল সম্পদ জব্দ করেছেন। সে তালিকায় এ বাংলোটিও রয়েছে।

এরপর বাড়িটি দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দেন আদালত। বাংলোটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে।

অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ অনুসন্ধান শুরু হলে গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগ করেন বেনজীর।

রূপগঞ্জে বেনজীর আহমেদের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাংলো বাড়ি জব্দ

প্রকাশিত : ০৫:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাংলো বাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত টিম রূপগঞ্জের আনন্দ হাউজিং সোসাইটি এলাকার এই বাড়িটি জব্দ করে।

তথ্যটি নিশ্চিত করে দুদকের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচলাক মঈনুল হাসান রওশনী জানান, বাড়িটি ক্রোকের সময় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও দুদকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আদালতের আদেশানুসারে বাড়িটিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হবে।

2f2a132827030b52d98be6ce3675cd71b2935751fc5a2292

জানা যায়, বেনজীর প্রায় আট বছর আগে এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ওই জায়গাটি কিনে নেন। ২০২২ সালে এই জমিতে ওই বাড়ি করেন তিনি।

বেনজীর মাঝেমধ্যেই এ বাড়িতে আসতেন, রাত্রিযাপনও করতেন। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বাড়িটিতে কেয়ারটেকারের পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা হয়েছে।

এর আগে গোপালগঞ্জে বিশাল এলাকাজুড়ে রিসোর্ট, রাজধানীর গুলশানে ১০ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট (চারটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে), বান্দরবানে ২৫ একর বাগানবাড়িতে রিসিভার নিয়োগ দিয়ে তত্ত্বাবধানে নেয় প্রশাসন।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ জুন আদালত তৃতীয় দফায় বেনজীরের আরও বিপুল সম্পদ জব্দ করেছেন। সে তালিকায় এ বাংলোটিও রয়েছে।

এরপর বাড়িটি দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দেন আদালত। বাংলোটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এতে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে।

অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ অনুসন্ধান শুরু হলে গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগ করেন বেনজীর।