নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় নকল হান্ডি রেষ্টুরেন্ট উদ্বোধনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মূল হান্ডি রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. মামুনুর রশীদ (৫৪) বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মুরাদ মিয়া (৪৫) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের উত্তর পাঁচানী গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন ওরফে মারুফ মিয়ার ছেলে।
শনিবার ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্তরা।
এর আগে গত ১১ মে হিরাঝিল মেইন রোড সংলগ্ন এলাকায় এই নকল হান্ডি রেষ্টুরেন্টের জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন স্থানীয় কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০৭ সাল থেকে সুনামের সহিত ‘হান্ডি রেস্টুরেন্ট’ নামকরন করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিলেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী মোঃ মামুনুর রশীদের ঢাকার ধানমন্ডি, গুলশান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ মোট পাঁচটি শাখা রয়েছে। এছাড়া সারা বাংলাদেশে তার আর কোন শাখা নাই।
সূত্রে আরও জানা যায়, অভিযুক্ত মুরাদ মিয়া ভুক্তভোগীর প্রতিষ্ঠান গুলশান শাখায় প্রায় ১২ বছর যাবৎ ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন।
সেই সুবাদে দীর্ঘ সময় ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে থাকাকালীন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে অভিযুক্তকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে ভুক্তভোগী জানতে পারেন অভিযুক্ত মুরাদ তার সহযোগীদের নিয়ে অবৈধ ভাবে ভুক্তভোগীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড মার্ক ব্যবহার করে ‘হান্ডি রেস্টুরেন্ট’ নামকরণ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় ‘হান্ডি রেস্টুরেন্ট’ দিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করে আসছে।
যার ফলে ভুক্তভোগীর বৈধ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি সহ সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত মুরাদ মিয়া বলেন, আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
তার (ভুক্তভোগীর) প্রতিষ্ঠানের নাম আর আমার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলে জানান অভিযুক্ত মুরাদ মিয়া।
এদিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত জামিল জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই রেস্টুরেন্ট মালিককে তার ব্যানার সরানোর জন্য বলা হয়েছে।
মালিক পক্ষ তাদের ব্যানার সরিয়ে নিয়েছে। বাকিটা ওসি স্যার বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।